Home খাতামুন নাবীঈন আকীদায়ে খতমে নবুওয়ত সংক্রান্ত সহীহ হাদীস

আকীদায়ে খতমে নবুওয়ত সংক্রান্ত সহীহ হাদীস

0
আকীদায়ে খতমে নবুওয়ত সংক্রান্ত সহীহ হাদীস

আকীদায়ে খতমে নবুওয়ত সম্পর্কিত ২০টির-ও অধিক সহীহ হাদীস (আরবী ও বাংলা অনুবাদসহ) পড়ুন –

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (১৮৩৯-১৯০৮) নিজেকে নবী দাবী করেছিল ৷ অথচ কুরআন হাদীসের সুস্পষ্ট মেসেজ হচ্ছে, নবী মুহাম্মদ (সা:) মুক্ত ও স্বাধীন অর্থে সর্বশেষ নবী ৷ তারপর ওহীয়ে নবুওয়তেরধারা চিরতরে রুদ্ধ। আমি নিম্নে কেবল ২০টির-ও অধিক হাদীস শরীফ পেশ করছি ৷

[১] সহীহ বুখারী হাদীস নং ৪৪১৬, قَالَ أَلَا تَرْضَى أَنْ تَكُوْنَ مِنِّيْ بِمَنْزِلَةِ هَارُوْنَ مِنْ مُوْسَى إِلَّا أَنَّهُ لَيْسَ نَبِيٌّ بَعْدِي অর্থ- রাসুল (সা.) আলী (রা.)- কে বললেন, তুমি কি এ কথায় রাজী নও যে, তুমি আমার কাছে সে মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হারূন (আ.) যে মর্যাদায় মূসার কাছে অধিষ্ঠিত ছিলেন । পার্থক্য শুধু এতটুকু যে, হারূন (আ.) নবী ছিলেন আর আমার পরে কোনো নবী নেই৷

[২] সহীহ বুখারী হাদীস নং ৩৫৩২, ৪৮৯৬, قال رسول الله.. وَأَنَا الْعَاقب অর্থ- রাসুল (সা.) বলেন আমার একটি নাম আক্বিব (তথা সর্বশেষে আগমনকারী) ৷

[৩] সহীহ বুখারী হাদীস নং ৩৫৩৫, أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ مَثَلِيْ وَمَثَلَ الأَنْبِيَاءِ مِنْ قَبْلِيْ كَمَثَلِ رَجُلٍ بَنَى بَيْتًا فَأَحْسَنَهُ وَأَجْمَلَهُ إِلَّا مَوْضِعَ لَبِنَةٍ مِنْ زَاوِيَةٍ فَجَعَلَ النَّاسُ يَطُوفُوْنَ بِهِ وَيَعْجَبُوْنَ لَهُ وَيَقُوْلُوْنَ هَلَا وُضِعَتْ هَذِهِ اللَّبِنَةُ قَالَ فَأَنَا اللَّبِنَةُ وَأَنَا خَاتِمُ النَّبِيِّينَ অর্থ- রাসুল (সা.) বলেন, আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণের অবস্থা এমন যে, এক ব্যক্তি যেন একটি গৃহ নির্মাণ করল ৷ তাকে সুশোভিত ও সুসজ্জিত করল৷ কিন্তু এক পাশে একটি ইটের জায়গা খালি রয়ে গেল। অতঃপর লোকজন এর চারপাশে ঘুরে আশ্চর্য হয়ে বলতে লাগল ঐ শূন্যস্থানের ইটটি লাগানো হল না কেন! নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমিই সে ইট। আর আমিই সর্বশেষ নবী।

[৪] সহীহ বুখারী হাদীস নং ৬৯৯০, أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لَمْ يَبْقَ مِنْ النُّبُوَّةِ إِلاَّ الْمُبَشِّرَاتُ অর্থ- আবূ হোরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, সু-সংবাদ বহনকারী বিষয়াদি ব্যতীত নবুওয়তের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।

[৫] সহীহ বুখারী হাদীস নং ৩৪৫৫, إِنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِيْ وَسَيَكُوْنُ خُلَفَاءُ অর্থ- আমার পরে কোনো নবী নেই। তবে অনেক খলীফাহ্ হবে।

[৬] সহীহ বুখারী হাদীস নং ৬১৯৪, حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قُلْتُ لاِبْنِ أَبِي أَوْفَى رَأَيْتَ إِبْرَاهِيمَ ابْنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَاتَ صَغِيرًا، وَلَوْ قُضِيَ أَنْ يَكُونَ بَعْدَ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم نَبِيٌّ عَاشَ ابْنُهُ، وَلَكِنْ لاَ نَبِيَّ بَعْدَهُ‏.‏ অর্থ- ইসমা‘ঈল হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু আবূ আওফা (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি নবী (সা.)-এর পুত্র ইবরাহীম-কে দেখেছেন? তিনি বললেন, তিনি তো বাল্যাবস্থায় মারা গিয়েছেন। যদি মুহাম্মদ (সা.)-এর পরে অন্য কেউ নবী হবার বিধান থাকত তবে তাঁর পুত্র জীবিত থাকতেন। কিন্তু তাঁর পরে কোনো নবী নাই।

[৭] সহীহ বুখারী হাদীস নং ২৬৪১, وَإِنَّ الْوَحْيَ قَدْ انْقَطَعَ অর্থ- নিশ্চয় ওহী বন্ধ হয়ে গেছে ৷

[৮] সহীহ বুখারী হাদীস নং ৪৯৩৬, سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ بِإِصْبَعَيْهِ هَكَذَا بِالْوُسْطَى وَالَّتِيْ تَلِي الإِبْهَامَ بُعِثْتُ وَالسَّاعَةُ كَهَاتَيْنِ. অর্থ- সাহল ইবনু সা‘দ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দেখেছি, রাসুল (সা.) তাঁর মধ্যমা ও বুড়ো আঙ্গুলের নিকটবর্তী অঙ্গুলিদ্বয় এভাবে একত্র করে বললেন, কেয়ামত (কিয়ামত) ও আমাকে এমনিভাবে পাঠানো হয়েছে।

[৯] সহীহ বুখারী হাদীস নং ৭১২১, قَالَ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَقْتَتِلَ فِئَتَانِ عَظِيمَتَانِ يَكُونُ بَيْنَهُمَا مَقْتَلَةٌ عَظِيمَةٌ دَعْوَتُهُمَا وَاحِدَةٌ وَحَتَّى يُبْعَثَ دَجَّالُونَ كَذَّابُونَ قَرِيبٌ مِنْ ثَلاَثِينَ كُلُّهُمْ يَزْعُمُ أَنَّهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم অর্থ- তিনি বলেছেন, কেয়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ দু’টি বড় দল পরস্পরে মহাযুদ্ধে লিপ্ত না হবে। উভয় দলের দাবী হবে অভিন্ন। আর যতক্ষণ ত্রিশের কাছাকাছি মিথ্যাচারী দাজ্জাল-এর প্রকাশ না পাবে তারা প্রত্যেকেই নিজেকে আল্লাহর প্রেরিত রাসূল বলে দাবি করবে ৷

[১০] সহীহ মুসলিম হাদীস নং ৬১১৪, فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلاَّ أَنَّهُ لاَ نُبُوَّةَ بَعْدِي অর্থ- রসূলুল্লাহ (সা.) বললেন তুমি কি এতে আনন্দবোধ করো না যে, আমার নিকট তোমার সম্মান মূসা (আ.)-এর নিকট হারূন (আ.)-এর মতো। এ কথা ভিন্ন যে, আমার পর আর কোনো নবুওয়ত নেই ।

[১১] সহীহ মুসলিম হাদীস নং ১০৫৪, وَأُرْسِلْتُ إِلَى الْخَلْقِ كَافَّةً وَخُتِمَ بِيَ النَّبِيُّونَ ‏ অর্থ- আমাকে সমগ্র সৃষ্টির জন্য (নবী করে) পাঠানো হয়েছে। আর আমাকে দিয়ে নবীদের আগমন-ধারা সমাপ্ত করা হয়েছে।

[১২] সহীহ বুখারী, কিতাবুল আম্বিয়া হাদীস নং ৩৪৫৫, হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, كَانَتْ بَنُوْ إِسْرَائِيْلَ تَسُوْسُهُمْ الأَنْبِيَاءُ كُلَّمَا هَلَكَ نَبِيٌّ خَلَفَهُ نَبِيٌّ وَإِنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِيْ وَسَيَكُوْنُ خُلَفَاءُ فَيَكْثُرُوْنَ অর্থ বনী ইসরাঈলের নবীগণ তাঁদের উম্মাতকে শাসন করতেন। যখন কোনো একজন নবী মারা যেতেন, তখন অন্য একজন নবী তাঁর স্থলাভিষিক্ত হতেন। আর আমার পরে কোনো নবী নেই। তবে অনেক খলীফাহ্ হবে। (তাওহিদ প্রকাশনী)।

[১৩] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৯৯০, হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেছেন, سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لَمْ يَبْقَ مِنْ النُّبُوَّةِ إِلاَّ الْمُبَشِّرَاتُ অর্থ আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, মুবাশশ্বিরাত ব্যতীত নবুওয়তের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। এই ‘মুবাশ্বশিরাত’ (مُبَشِّرَاتِ) এর মর্মার্থ সুস্পষ্ট করে আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা.) বলেছেন, لَمْ يَبْقَ مِنَ النُّبُوَّةِ إلَّا المُبَشِّراتُ. قالوا: وما المُبَشِّراتُ؟ قالَ: الرُّؤْيا الصَّالِحَةُ অর্থাৎ মুবাশ্বশিরাত ব্যতীত নবুওয়তের আর কোনো কিছুই অবশিষ্ট নেই। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! মুবাশ্বশিরাত কী? তিনি (সা.) বললেন, সত্য স্বপ্ন। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৯৯০)।

[১৪] ইমাম দায়লামী (রহ.) সংকলিত আল-ফেরদাউস বি-মাছূরিল খিতাব (الفردوس بمأثور الخطاب للدیلمی), ১/৩৯, হাদীস নং ৮৫, হযরত আবু যর (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, یٰا أَبَا ذَرٍ أَوَّلُ الْاَنْبِیَاء آدَمُ وَآخِرُہ مُحَمَّدٌ অর্থ ‘হে আবু যর! সর্বপ্রথম নবী ছিলেন আদম আর সর্বশেষ নবী হচ্ছে মুহাম্মদ।’

[১৫] তিরমিযি হাদীস নং ৩৬৮৬, হযরত উকবাহ ইবনে আমের (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, لَوْ كَانَ بَعْدِي نَبِيٌّ لَكَانَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ অর্থ আমার পরবর্তীতে কেউ নবী হলে অবশ্যই উমর ইবনুল খাত্তাবই নবী হতেন। (সহীহ)।

[১৬] সহীহ মুসলিম হাদীস নং ৩২৬৯, فَإِنِّي آخِرُ الأَنْبِيَاءِ وَإِنَّ مَسْجِدِي آخِرُ الْمَسَاجِدِ ‏ অর্থ- অতএব অবশ্যই আমি নবীগণের সমাপ্তি এবং আমার মসজিদ সর্বশেষ মসজিদ ৷ (অন্য রেওয়ায়েতে আছে, [আরবী] مسجدى آخر مساجد الأنبياء অর্থ- নিশ্চয়ই আমার মসজিদ নবীগণের প্রতিষ্ঠিত মসজিদ সমূহের মধ্যে সর্বশেষ মসজিদ [সূত্র- আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব])।

[১৭] সহীহ মুসলিম হাদীস নং ৬২১২, وَلَكِنْ أَبْكِي أَنَّ الْوَحْىَ قَدِ انْقَطَعَ مِنَ السَّمَاءِ অর্থ- কিন্তু আমি এজন্য কাঁদছি যে, আকাশ হতে ওহী (তথা ওহীয়ে নবুওয়ত) আসা বন্ধ হয়ে গেল।

[১৮] সহীহ মুসিলম হাদীস নং ৫৮৫৪, مَثَلِي وَمَثَلُ الأَنْبِيَاءِ مِنْ قَبْلِي كَمَثَلِ رَجُلٍ ابْتَنَى بُيُوتًا فَأَحْسَنَهَا وَأَجْمَلَهَا وَأَكْمَلَهَا إِلاَّ مَوْضِعَ لَبِنَةٍ مِنْ زَاوِيَةٍ مِنْ زَوَايَاهَا فَجَعَلَ النَّاسُ يَطُوفُونَ وَيُعْجِبُهُمُ الْبُنْيَانُ فَيَقُولُونَ أَلاَّ وَضَعْتَ هَا هُنَا لَبِنَةً فَيَتِمَّ بُنْيَانُكَ ‏.‏ فَقَالَ مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَكُنْتُ أَنَا اللَّبِنَ অর্থ- আমার দৃষ্টান্ত ও আমার পূর্বেকার নবীগণের দৃষ্টান্ত সে লোকের উপমার মতো যে কতকগুলো গৃহ বানালো, তা সুন্দর করল ও সুদৃশ্য করল এবং পূর্ণাঙ্গ করল; কিন্তু তার কোনো একটির কোণে একটি ইটের স্থান ব্যতীত। লোকেরা সে ঘরগুলোর চারদিকে চক্কর দিতে (ঘুরেঘুরে দেখতে) লাগল আর সে ঘরগুলো তাদের মুগ্ধ করতে লাগল। পরিশেষে তারা বলতে লাগল, এখানে একখানি ইট লাগালেন না কেন? তাহলে তো আপনার অট্টালিকা পূর্ণাঙ্গ হত। অতঃপর মুহাম্মদ (সা.) বলেন যে, আমি-ই সে (শূন্যস্থানের) ইটখানি।

[১৯] সহীহ মুসলিম হাদীস নং ৬০২৬, الأَنْبِيَاءُ إِخْوَةٌ مِنْ عَلاَّتٍ وَأُمَّهَاتُهُمْ شَتَّى وَدِينُهُمْ وَاحِدٌ فَلَيْسَ بَيْنَنَا نَبِيٌّ অর্থ- নবীগণ একই পিতার সন্তানের মতো। তাদের মাতা ভিন্ন। তাদের দীন একটিই। আর তাঁর (ঈসা) এবং আমার মাঝে কোনো নবী নেই।

[২০] শামায়েলে তিরমিযি হাদীস নং ২৮৩, فَقَالَ : ” أَنَا مُحَمَّدٌ ، وَأَنَا أَحْمَدُ ، وَأَنَا نَبِيُّ الرَّحْمَةِ ، وَنَبِيُّ التَّوْبَةِ ، وَأَنَا الْمُقَفَّى ، وَأَنَا الْحَاشِرُ ، وَنَبِيُّ الْمَلاحِمِ অর্থ- তিনি বললেন, আমি মুহাম্মদ, আমি আহমদ, আমি নবীউর রহমত (রহমতের নবী) আমি নবীউত তাওবা (তাওবার নবী), আমি মুকাফফী (পরে আগমনকারী), আমি হাশির (একত্রকারী অর্থাৎ আমার সময়ের পরপরই হাশরের ঘটনা ঘটবে), আমি মালাহিমের নবী (জিহাদকারী)।

[২১] আবু দাউদ হাদীস নং ৪২৫২, سَيَكُونُ فِي أُمَّتِي كَذَّابُونَ ثَلَاثُونَ، كُلُّهُمْ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ، وَأَنَا خَاتَمُ النَّبِيِّينَ لَا نَبِيَّ بَعْدِي অর্থ- অবিলম্বে আমার উম্মতের মধ্যে ত্রিশজন মিথ্যাবাদীর আবির্ভাব ঘটবে, তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নবী বলে দাবী করবে। অথচ আমিই সর্বশেষ নবী এবং আমার পরে আর কোনো নবী নেই।

[২২] তিরমিযি হাদীস নং ২২৭২, ان الرِّسَالَةَ وَالنُّبُوَّةَ قَدِ انْقَطَعَتْ فَلاَ رَسُولَ بَعْدِي وَلاَ نَبِيَّ ‏ অর্থ- নিশ্চয় রিসালাত ও নবুওয়তের ধারাবাহিকতা সমাপ্ত হয়ে গেছে। অতএব, আমার পরে আর কোনো রাসূলও প্রেরিত হবে না এবং নবীও হবে না।

[২৩] ইবনে মাজাহ হাদীস নং ৩৮৯৬, ذَهَبَتِ النُّبُوَّةُ وَبَقِيَتِ الْمُبَشِّرَاتُ অর্থ- নবুওয়ত সমাপ্ত হয়ে গেছে এবং মুবাশ্বশিরাত (সত্য স্বপ্ন) অবশিষ্ট রয়ে গেছে।

  • প্রিয়বন্ধুরা, উপরিউক্ত ২০টির-ও অধিক সহীহ হাদীসের আলোকে দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্টত প্রমাণিত যে, নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে নবুওয়তের ধারাবাহিকতা সমাপ্ত হয়ে গেছে। তাই তিনি সর্বশেষ নবী ও রাসূল ৷ তাঁর পর আর কোনো প্রকারের নতুন কোনো নবীও নেই রাসূলও নেই৷

লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী
শিক্ষাবিদ ও গবেষক
ওয়েবসাইট – www.markajomar.org

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here